Saturday, August 16, 2014

জেনে নিন সবচেয়ে বিপজ্জনক দশটি ভাইরাস সম্পর্কে

বর্তমানে এবোলা ভাইরাস একটি আতঙ্কের নাম। অনেকে মনে করতে পারেন এটি বুঝি পৃথিবীর সবচেয়ে অপ্রতিরোধ্য, ভয়াবহ ভাইরাস। না এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক ভাইরাস নয়। এমনকি এইচআইভি-ও নয়। তাহলে? জেনে নিন নিচের লেখা পড়ে:
১. মারবুর্গ ভাইরাস (মৃত্যুর আশঙ্কা ৯০ শতাংশ):
পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক ভাইরাসের নাম মারবুর্গ ভাইরাস। জার্মানির লান নদীর পাশের শহর মারবুর্গের নামে ভাইরাসটির নামকরণ। তবে এই শহরের সঙ্গে ভাইরাসটির আসলে কোনো সম্পর্ক নেই৷ 'হেমোরেজিক' জ্বর সৃষ্টিকারী এই ভাইরাসের লক্ষণ অনেকটা এবোলার মতো।
২. এবোলা ভাইরাস (মৃত্যুর আশঙ্কা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ): 
এবোলা ভাইরাস পাঁচ ধরনের। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং অঞ্চলের নামে এগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। যেমন জাইরি, সুদান, তাই ফরেস্ট, বুন্ডিবিগিয়ো এবং রোস্টান। বর্তমানে গিনিয়া, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে জাইরি ছড়াচ্ছে। আর এটিই এবোলার সবচেয়ে মারাত্মক সংস্করণ।
৩. হেন্টাভাইরাস (মৃত্যুর আশঙ্কা ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ): 
অনেক ধরনের ভাইরাসকে বোঝানো যায় এই নামের মাধ্যমে। ধারণা করা হয় ১৯৫০ সালে কোরিয়া যুদ্ধের সময় হেন্টা নদীর তীরে অবস্থানকালে মার্কিন সেনারা প্রথম এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। হেন্টা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুসে প্রদাহ, জ্বর এবং কিডনি অকেজো হয়ে যায়।
৪. বার্ড ফ্লু (মৃত্যুর আশঙ্কা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ): 
এই ভাইরাসটি যেন নিয়মিত এক আতঙ্ক। তবে মনে রাখা জরুরী যে, এই ভাইরাসে সংক্রমণ খুব সহজে হয় না। শুধুমাত্র হাস-মুরগির সংস্পর্শে গেলে এতে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এশিয়াতে এই ভাইরাস সংক্রমণের হার বেশি। কারণ সে অঞ্চলের অনেক মানুষ মুরগির খুব কাছে বসবাস করেন।
৫. লাসা ভাইরাস (মৃত্যুর আশঙ্কা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ): 
ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। নাইজেরিয়ার একজন সেবিকা প্রথম লাসা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তবে ভাইরাসটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ছড়ায়৷ পশ্চিম আফ্রিকায় এই ভাইরাস ছড়ানোর প্রবনতা বেশি৷ বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সেখানকার ১৫ শতাংশ ইঁদুর লাসা ভাইরাস বহন করছে।
৬. জুনিন ভাইরাস (মৃত্যুর আশঙ্কা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ): 
আর্জেন্টিনার 'হেমোরেজিক' জ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত জুনিন ভাইরাস। সমস্যা হচ্ছে এটির লক্ষণ আরো অনেক রোগের লক্ষণের মতো হওয়ায় শুরুতেই এটি সনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
৭. টিক ভাইরাস (মৃত্যুর আশঙ্কা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ): 
ক্রিমিয়া-কংগো জ্বরের ভাইরাস 'টিক' পতঙ্গের মাধ্যমে ছড়ায়৷ এটির লক্ষণ অনেকটা এবোলা এবং মারবুর্গ ভাইরাসের মতোই৷ তবে এতে মৃত্যুর শঙ্কা কম।
৮. ব্ল্যাক টাইপুস বা মাচুপো ভাইরাস (মৃত্যুর আশঙ্কা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ): 
বলিভিয়ার 'হেমোরহেজিক' জ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত মাচুপো ভাইরাস। এটি 'ব্ল্যাক টাইপুস' হিসেবেও পরিচিত। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাত্রাতিরিক্ত জ্বর হয়, সঙ্গে শুরু হয় মারাত্মক রক্তপাত। জুনিন ভাইরাসের মতো এটির বৃদ্ধি ঘটে। মানুষ থেকে মানুষের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে।
৯. কেএফডি কিয়াসানুর ফরেস্ট ভাইরাস (মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ) : 
১৯৫৫ সালে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলবর্তী বনভূমিতে প্রথম এই ভাইরাস আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হয় ইঁদুর, পাখি এবং বন্য শুকর কেএফডি ভাইরাস বহন করে থাকতে পারে।
১০. ডেঙ্গু ভাইরাস (মৃত্যুঝুঁকি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ): 
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই ভাইরাসে প্রতি বছর সবমিলিয়ে ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হন। তবে পর্যটকদের চেয়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য এই ভাইরাস বড় হুমকি।
- See more at: http://www.bd24live.com/article/1839/index.html#sthash.lYftdfMX.dpuf

No comments: